২৬ জানুয়ারি দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ‘সন্ত্রাসী হামলায় শাপলাপুর আ.লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আহত ৪’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ওই সংবাদের আমাকে জড়িয়ে যে কথা লেখা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। প্রথমেই প্রতিবাদ জানাচ্ছি ওই সংবাদে লেখা হয়েছে আমি নাকি জামায়াত ক্যাডার। এই তথ্যটা পড়ে আমি অত্যন্ত মর্মাহত ও ক্ষুদ্ধ হয়েছি। কারণ আমার দীর্ঘ জীবনজুড়ে আমি আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছি। বঙ্গবন্ধুর একজন নি:স্বার্থ প্রেমিক হিসেবে সারাজীবন দলকে উজাড় করে দিয়েছি সবকিছু। কোনো দিন দলকে ব্যবহার করে টাকা ও ক্ষমতার লোভ করিনি। শাপলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কমিটি সদস্য হয়ে দলের পক্ষ হয়ে

এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের সাথে এক অনুষ্ঠানে ফজর আলম। (দাড়িওয়ালা)

প্রতিক্ষণ জামায়াত-শিবিরের সাথে যুদ্ধ করছি। দুর্দিনের আওয়ামী লীগের সাথে থেকেছি। আমাকে সবাই শাপলাপুর আওয়ামী লীগের স্বনামধন্য ৫ জনের মধ্যে একজন হিসেবে জানে। এলাকায় আমার কারণে জামায়াত-শিবির মাথা উঁচু করে চলতে পারে না। পাশপাশি আমার পুরো পরিবার আওয়াম লীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার ছেলে বাহাদুর আলম রাজু চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের একজন শীর্ষ সারির নেতা। সে প্রতিদিন সেখানে শিবিরের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে লড়াই করছে। এই আমাকে-ই জামায়াত ক্যাডার বলায় অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অন্যদিকে আমাকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর যে কথা বলা হলো তা ছিল একটি মিথ্যা মামলা। পরে আমাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ওই ঘটনার প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, সংবাদে উল্লেখিত আহত চার জনের মধ্যে জাকের হোসেন নামে যার কথা বলা হয়েছে তিনি ওই ঘটনায় আহত হননি। জমি সংক্রান্ত অন্য একটি ঘটনায় তিনি তার প্রতিপক্ষ আবদুর রশিদের পুত্র নূরুল ইসলামের হামলায় আহত হন। অথচ জঘন্য ভাবে তাকে আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের উপর হামলার ঘটনায় আহত বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আমার দল আওয়ামী লীগের অত্যন্ত বদনাম হয়েছে এবং হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে।

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের একটি মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাহাদুর আলম (লাল পাঞ্জাবি)।

আসল ঘটনা হলো, শাপলাপুরের বারিয়াপাড়ার পূর্বদিকে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের সাথে লিঙ্কবাঁধ দিয়ে স্থানীয় নাজির হোসেন, আবদুল মান্নান ও মো. ইউসুফসহ অনেকে চিংড়িঘের নির্মাণ করে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. ওসমান সরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন ওই চিংড়িঘের থেকে ভাগ দাবি করে। এই জন্য তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে আমাকে কয়েকবার এই বিষয়ে বলে। আমি বিষয়টি যারা চিংড়িঘের নির্মাণ করেছে তাদেরকে বলেছি। কিন্তু তারা সাফ জানিয়ে দেয়, জান দিতে হলেও তারা ভাগ দেবে না। এর মধ্যে ঘটনার দিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বশরীরে চিংড়িঘের এলাকায় যায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হামলার ঘটনা ঘটে। কিন্তু ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম না। অথচ আমার নেতৃত্বে ঘটনা হয়েছে জঘন্য মিথ্যা তথ্য লেখা হয়েছে।
পরিশেষে আমি আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপর হামলা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 

প্রতিবাদকারী
ফজর আলম, সদস্য শাপলাপুর ইউনিয়ন আ.লীগ
বারিয়াপাড়া, শাপলাপুর, মহেশখালী।